মাহবুব সৈয়দ,নরসিংদী প্রতিনিধি :
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, স্বৈরাচার ফ্যাসিসদের দোসররা, প্রেতাত্বারা এখন সমাজে রাষ্ট্রের গভীরে অবস্থান করছে। এরা এখনো অবস্থান করছে বলেই তারা জুনায়েদকে পৃথিবী থেকে সড়িয়ে দিয়েছে। একইভাবে গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবকদলের দিদারকে তারা দিনে দুপুরে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। অন্তবর্তীকালীন সরকার এই শহীদদের খুনের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের বটিয়ারা গ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও ছাত্রদলের কর্মী জুনায়েদ আল হাবিবকে হত্যার ঘটনায় তার পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে তিনি এসব বলেন।
তিনি বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের গুরু দায়িত্ব পালনে যদি কোন স্লথ গতি থাকে ও ঢিলেডালা ভাব থাকে। তাহলে আমরা যে দ্বিতীয় স্বাধীনতার কথা বলছি, আমরা যে একটি পৃথিবী কাঁপানো বিপ্লবের কথা বলছি ৫ আগষ্ট তার যে অন্তনিহিত চেতনা, তার মূলমন্ত্র সেটি ব্যাহত হবে। চেতনাকে অবমূল্যায়ন করা হবে।
এসময় তিনি জুনায়েদের বাবা জসিম উদ্দিনকে সমবেদনা জানান। বিএনপি নিহতের পরিবারের পাশে থাকবেন বলে জানান। আর জুনায়েদের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ বিচার নিশ্চিতে বিএনপি কাজ করবে বলে জানান। পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে আমরা বিএনপি পরিবারের উদ্যোগে জুনায়েদের বাবাকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
এসময়, বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ সম্পাদক ইঞ্চিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মঞ্জুর এলাহী, আমরা বিএনপি পরিবারের আহবায়ক আতিকুর রহমান রুম্মন সহ জেলা, থানা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ সেপ্টেম্বর উপজেলার বটিয়ারা মোড়ে জুনায়েদকে ছুরিকাঘাত করেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা স্বাধীন ও পিয়ালের নেতৃত্বে কয়েকজন।
ছুরিকাঘাতে আহত জুনায়েদকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। টানা ৯ দিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সোমবার দুপুরে তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় আইসিইউতে ভর্তির পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালে আইসিইউ খালি না থাকায় তাকে রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ভর্তির প্রস্তুতিকালে সোমবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ৩০ সেপ্টেম্বর জুনায়েদের চাচা মো. শফিক বাদী হয়ে স্বাধীন ও পিয়ালসহ ১৪ জনকে আসামি করে রায়পুরা থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে।