শাহীন আলম তুহিন :
মাগুরায় ষার্টোধ সাহেলা বেগম। জুলাই-আগষ্টে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেওয়া ছেলে শহীদ
মেহেদী হাসান রাব্বী হত্যার বিচারের দাবিতে দারে দারে ঘুরছেন এই মা। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে একটি বছর পার হয়ে গেলে
ছেলে হত্যার বিচার না পাওয়া হতাশ রাব্বীর পরিবার।
কান্না জড়িত কণ্ঠে রাব্বীর মা সালেহা বলেন, এক বছর আমার ছেলে রাব্বী মারা গেছে এহনো কোন বিচার আচার আমি
পাইনি।ছেলে হত্যার বিচারের দাবি করেন এই বৃদ্ধা মা। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত রাব্বীকে বীরশ্রেষ্ঠ পদমর্যাদায় সম্মান প্রদানে আবেগন করা হয়েছে।নিহত রাব্বী জেলা ছাত্র্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
মাগুরা পৌরসভার বরুনাতৈল গ্রামের মৃত ময়েদ উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয় কথা বলে জানা গেছে গেল বছর ৪ আগষ্ট সকাল ১০
টার দিকে মাগুরা-ঢাকা মহাসকের পারনান্দুয়ালী নবগঙ্গা নদী ব্রিজের ওপর অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষাথী ও বিএনপির
নেতা-কর্মীরা।এছাড়া ব্রিজের পশ্চিম পাশে অবস্থান নেন পুলিশ সদস্যরা। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও সেখানে অবস্থান নিয়ে এ আন্দোলনে যোগ দেন। আন্দোলনে উভয় পক্ষ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ শুরু হয়। দিনব্যাপী চলে এ সংঘর্ষের ঘটনা। দুপুরে প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত হন। জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহদী আহান রাব্বী। পরে তাকে স্থানীয় উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক অমর প্রদান তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
ময়নাতদন্ত ছাড়াই রাতে মেহেদী হাসান রাব্বীকে দাফন করা হয়। বৈষস্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় জেলা ছাত্রদল যুগ্ম সাধারণ সস্পাদক মেহদী হাসান রাব্বি নিহত হওয়ার ঘটনায় ১৩ জনের নামে গেল বছর ১৩ আগষ্ট দিন রাতে মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই ইউনিস আলী। ওই নেতা রাব্বী নিহত হওয়ার ঘটনায় আসামী হিসেবে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
তবে এ মামলায় আজ্ঞাত পরিচয় আসামী করা হয়েছে ১৫০ জনকে। তবে ওই মামলায় আসামী হিসেবে যাদের কে দেখানো হয়েছে সবাই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে।
মামলার বাদী নিহতের বড় ভাই বলেন, মেহেদী হাসান রাব্বী শহীদ হওয়ার পর মামলা করার পর পুলিশ এখনো পযন্ত এই মামলার
চাজশিট প্রতিবেদন ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার কোনটাই তারা করতে পানে নাই। একটি বছর শেষ হয়েছে আমরা খুবই মমাহত।
মাগুরা পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা বলেন, জুলাই-আগষ্টের নিহতদের মামলায় একাধিক মানুষকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
দেখা যায় কোন কোন মামলায় ২শ থেকে তিন’শ জনকে আসামী করা হয়েছে। সেখানে তদন্ত করে অপরাধীদের বের করতে সময় লাগছে। অভিযুক্ত আসামী গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। পুলিশি তদন্ত চলমান রয়েছে।