শুভ্র মজুমদার, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় ফুলকপির নজিরবিহীন দরপতনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। বাজারে প্রতিটি ফুলকপি মাত্র ২-৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ তো দূরের কথা, পরিবহন খরচই তোলা দায় হয়ে পড়েছে।
ধুনাইল গ্রামের কৃষক আসকর আলী জানান, ২০ শতাংশ জমিতে ফুলকপি চাষে প্রায় ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। অথচ বর্তমান বাজারদরে তার বিনিয়োগের সামান্য অংশও উঠে আসছে না। তিনি বলেন, এভাবে চলতে থাকলে চাষাবাদ ছেড়ে দিতে হবে। আমরা কি এই পরিশ্রমের জন্য এমন পরিণতির মুখোমুখি হতে চেয়েছিলাম?
অনেক কৃষকই ফুলকপি ক্ষেতেই ফেলে দিচ্ছেন। এমনকি পরিবহন খরচ বাঁচাতে ক্ষেতেই ফসল নষ্ট করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হচ্ছেন। উৎপাদনে ব্যয় ও বাজারদরের এমন বৈপরীত্য কৃষকদের মানসিক অবস্থার উপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
এমন বিপর্যয় থেকে উত্তরণে কৃষকরা সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করছেন।
তাদের দাবিগুলো হলো, স্থানীয়ভাবে ফসল সংরক্ষণের ব্যবস্থা করলে কৃষকরা কম দামে ফসল বিক্রি করতে বাধ্য হবেন না, সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কেনার উদ্যোগ নেওয়া। চাহিদা ও সরবরাহের সঠিক সমন্বয়ের মাধ্যমে ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা।
কৃষি আমাদের দেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি। এ খাতকে রক্ষায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার উপর পড়বে।
সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও সঠিক নীতিমালা প্রণয়নই পারে এই সংকট কাটিয়ে কৃষকদের মুখে হাসি ফিরিয়ে আনতে।