শুভ্র মজুমদার, কালিহাতী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:
শীতের আমেজে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কৃষকরা মেতে উঠেছেন শীতকালীন সবজি চাষে। আমন ধান ঘরে তোলার পরই মাঠ ভরে উঠেছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিমসহ নানা রকম শীতকালীন শাকসবজির আবাদে। জমিতে নিবিড় পরিচর্যা আর দিনরাত শ্রম দিয়ে কৃষকরা ফসল ফলাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন, যাতে ভালো ফলন নিশ্চিত হয় এবং বাজারে লাভজনক দাম পাওয়া যায়।
বর্তা গ্রামের কৃষক রনজিত বাবু জানান, “২৬ শতাংশ জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। গাছগুলো ভালো অবস্থায় আছে। তবে বৃষ্টি হলে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর ভালো ফলনের আশা করছি।”
ব্রজগাতী গ্রামের আরেক কৃষক আজিজুল বলেন, “প্রতি বছরের মতো এবারও ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ করছি। নিয়মিত পরিচর্যা ও আবহাওয়ার সহায়তা থাকলে ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি।”
কৃষকদের মতে, সঠিক সময়ে ফসল বাজারজাত করতে পারলে লাভবান হওয়া সম্ভব। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয় তাদের মাথায় সবসময় কাজ করে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারহানা মামুন জানান, “এ বছর আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। পাশাপাশি শীতকালীন সবজির আবাদও জোরেশোরে চলছে। কালিহাতীতে ৫৮০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩২৫ হেক্টরে ইতোমধ্যে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি জমিগুলোতেও দ্রুত কাজ চলছে।”
তিনি আরও জানান, “কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি শেখাতে প্রশিক্ষণ ও মাঠ পর্যায়ে স্কুল পরিচালনা করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা আশানুরূপ ফলন পাবেন।”
শীতকালীন সবজি চাষ এ অঞ্চলের কৃষকদের আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস। ভালো ফলন হলে এটি কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতির পাশাপাশি স্থানীয় বাজারেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সব মিলিয়ে, প্রকৃতির সহায়তায় কালিহাতীর কৃষকদের শীতকালীন সবজি চাষ এ বছর সাফল্যের নতুন গল্প লিখবে বলেই সকলের প্রত্যাশা।