যে সকল খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেতা হল:-
পেয়ারা: পুষ্টিগুণে ভরপুর দেশি এই ফল ‘ল্যাক্সেটিভ’ বা মল নিঃসরণের জন্য রেচক হিসেবে কাজ করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা টাটকা পেয়ারা খেলে তাই উপকার পাওয়া যায়।
খেজুর: হজম সংক্রান্ত সমস্যা নিরসনে এই ফল কার্যকর। সকালে পাঁচ-ছয়টা খেজুর অল্প ঘি ও কালো গোলমরিচের গুঁড়ার সঙ্গে খেলে ভালো কাজ করে। এরপর কুসুম গরম পানি পান করতে হবে। নিয়মিত এভাবে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।
মাসকলাইয়ের ডাল: যাদের অনিয়মিত মল নিঃসরণ হয় তাদের জন্য এই ডাল উপকারী হতে পারে। কিছু মাসকলাইয়ের ডাল ভেজে গুঁড়া করে ঘোলের সঙ্গে গুলিয়ে পান করলে উপকার মিলবে।
পান-পাতা: হজম রস নিঃসরণে সাহায্য করে, তাই গ্যাস বা পেট ফোলা সমস্যায় আরাম দেয়। পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য নিরসনেও কাজ করে। যে কোনো খাবার খাওয়ার পর পান চিবানো যেতে পারে।
তেজ-পাতা: প্রায় প্রতিটা রান্নাঘরেই এই পাতার দেখা মিলবে। হজমের সমস্যা কাটাতে যে কোনো তরকারিতে তেজপাতা ব্যবহার করা উপকারী। এছাড়া তেজপাতার চা বানিয়েও গ্রহণ করা যায়। এক্ষেত্রে কিছু তেজপাতা কয়েক মিনিট পানিতে ফুটিয়ে ছেঁকে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে তেজপাতার চা।
লাউপাতা: ‘ল্যাক্সেটিভ’ বা রেচক হিসেবে কাজ করে লাউপাতা। এটা দিয়ে চাটনি তৈরি করে যে কোনো খাবারের সাথে খাওয়া যায়।
ক্যাস্টর বা রেড়ি: নানান আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় এটা ব্যবহার করা হয়। রেড়ি গাছের শেকড় দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারলে কোষ্ঠকাঠিন্যে উপকার পাওয়া যায়। এজন্য রেড়ি গাছের কিছু শুকনা শেকড় মিহি গুঁড়া করে এক গ্লাস দুধের সাথে মিশিয়ে ফুটিয়ে পরিমাণে অর্ধেক বানিয়ে পান করতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে জীবনযাত্রার মান পরিবর্তনও গুরুত্বপূর্ণ।
খাবারে আঁশের পরিমাণ বাড়াতে ছোলা, ডাল, পূর্ণ শষ্যের খাবার, ওটস, ব্রকলি, গাজর, মটর, কাঠবাদাম, চিনাবাদাম, আপেল, বেরিজ, কমলা ও নাশপাতি নিয়মিত খেতে হবে।
পর্যাপ্ত পানি পান আবশ্যক। যা অন্ত্রের নড়াচড়ায় ভূমিকা রাখে ও মলের শুষ্কভাব দূর করে। এছাড়া নিয়মিত ব্যায়াম করাও উপকারী।
তথ্যটি গুগল ও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগ্রহ করা।