মোঃ সাইফুল্লাহ :
মাগুরার শ্রীপুরে স্কুল পড়ুয়া এক শিশুকে শ্লীলতাহানির মিথ্যা অভিযোগে হাবিবুর রহমান (৪৫) নামে পরিবার পরিকল্পনা অফিসের এক অফিস সহকারীকে বেধড়ক মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে তিনি মাগুরার শালিখা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে কর্মরত রয়েছেন। তিনি শ্রীপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে চাকরি ও শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্ত্রীর চাকরির সুবাদে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ার্টারে সপরিবারে বসবাস করে আসছেন।
গত ২১ জুন শুক্রবার রাতে ওই শিশুটিকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে ওইদিন রাতেই শিশুটির পিতা মিরাজ মোল্যা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে তিনি নিজের ভূল বুঝতে পেরে গত ২৭ জুন বৃহস্পতিবার তার দায়েরকৃত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। বিষয়টি মিমাংসা হলেও মারধরের সাথে জড়িতরা এখনো ওই অফিস সহকারী ও তার পরিবারের নিকট বিভিন্নভাবে চাঁদা দাবি ও হুমকি দিয়ে আসছে। তারপরেও এ ঘটনার পর থেকে অফিস সহকারী ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছ!
এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের অফিস সহকারী হাবিবুর রহমান জানান, আমি এর আগে শ্রীপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে কর্মরত ছিলাম। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাকে মাগুরা শালিখায় পাঠায়। আমি অফিসিয়ালি কাজ শেষ করে শ্রীপুরে এসেই থাকি। গত শুক্রবার রাতে হাসপাতালে চাকরি করে এক মহিলার নাতি ছেলে জন্মগ্রহণ করে। সেই ছেলেকে দেখার জন্য তারা আমাকে সাথে করে নিয়ে যান। এ সময় তার সাথে ছেলের বউ ও তার মেয়ে ছিল। কিছু বুঝে উঠার আগেই তার ছেলের বউ চিৎকার করে বলে আমি নাকি তার মেয়ের গায়ে হাত দিয়েছি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। মিথ্যা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দারিয়াপুরের কিছু স্থানীয় ছেলেরা আমাকে বেধরক মারপিট করে। তারা এখনো আমাকে হুমকি দিচ্ছে ও চাঁদা দাবি করছে। আমি এ ঘটনা তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবী হাবিবুর রহমানের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন শোভা জানান, আমি রাতে হাসপাতালে সামনে আমার বড় ভাইয়ের দোকানে অনেক লোকজন জড়ো দেখে এগিয়ে যাই। পরে দেখি আমার স্বামীকে স্থানীয় ছেলেরা বেধড়ক মারপিট করছে। একটা মিথ্যা অভিযোগে আমার স্বামীকে কেন মারা হল? আমি এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী মিরাজ মোল্যা জানান, এ বিষয়ে আমাদের পারিবারিক ও সামাজিকভাবে বসাবসির মাধ্যমে সকলের সম্মতিক্রমে আমি অভিযোগ তুলে নিয়েছি। এখন আমার আর তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই।
এ বিষয়ে জানতে মারধরের সাথে জড়িতদের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম অভিযোগ প্রত্যাহারের বিষয় নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছিলাম। পরে অভিযোগকারী অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।