মাহবুব সৈয়দ,নরসিংদী প্রতিনিধি:-
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে প্রতিমা তৈরির ধুম পড়েছে। কারিগরদের দম ফেলার ফুসরৎ নেই। কয়েক দিন বাদেই প্রতিমার গায়ে পড়বে রঙের আঁচড়। তবে গত বছরের চেয়ে কমেছে মন্ডপের সংখ্যা।
উপজেলার পৌর এলাকার পলাশ বাজার মন্দিরে চলছে প্রতিমা তৈরির শেষ পর্যায়ের কাজ। এই মন্দিরের ভেতরে এখন শোভা পাচ্ছে প্রতিমার বড় কাঠাম। বাঁশ-কাঠ আর কাদা মাটি দিয়ে তৈরি প্রতিমাগুলো দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন সনাতন ধর্মের লোকজন। কয়েক দিনের মধ্যেই প্রতিমাগুলো রঙের আঁচড়ে, পরিচ্ছদ ও অর্নামেন্টসে সজ্জিত হয়ে অপরূপ হয়ে উঠবে।
পলাশ উপজেলায় মোট ৪২ টি দূর্গাপুঁজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। পুঁজাগুলো উপজেলার ডাঙ্গা, জিনারদী, গজাড়িয়া, চরসিন্দুর ও ঘোড়াশাল পৌরসভার বিভিন্ন গ্রামের মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে বড় প্রতিমার দূর্গা উৎসব হয় রাবান, কুরইতলী, বরাবো, বালিয়া, পলাশ বাজার,ঘোড়াশাল ও ডাঙ্গা মন্দিরে। তবে পূজা মন্ডব সংখ্যা কমেছে, পাশাপাশি কমছে পূজার উৎসব খরচের বাজেট।
দলাদিয়া প্রতিমা শিল্পালয়ের মালিক রবিন্দ্র বর্মন বলেন, প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহৃত ছন, খর, বাঁশ, কাট ও মাটিসহ বিভিন্ন উপকরণের দাম বৃদ্ধির কারনে লাভের মুখ দেখা কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ ক্রেতারা আগের দামেই প্রতিমা তৈরি করে নিতে চাচ্ছেন। এ প্রতিমা শিল্পী আরো জানান, গত বছরের তুলনায় এবার দূর্গা প্রতিমার অর্ডারও কম। আমি ৪ সেট প্রতিমা গড়েছি এখনো কোন পূজারী সম্প্রদায়ের দেখা মিলেনি।
ঘোড়াশাল পৌর পূঁজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক বিজয় বনিক বলেন, আগামী ৮ অক্টোবর মহাপঞ্চমী দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব শুরু। ১২ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই উৎসব। ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠী পূজা থেকে মন্ডেবে মন্ডবে বেজে উঠবে ঢাকঢোল আর কাঁসার শব্দ। দেবীর আগমন পালকিতে ও প্রস্থান হবে ঘোড়ায় চড়ে।
পলাশ উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক সুব্রত দত্ত বলেন, ‘যেহেতু কোনো দলীয় সরকার ক্ষমতায় নাই, তাই কোনো নেতাদের আর্থিক সহায়তা পাওয়ার কোনো আশা নাই। সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা প্রতিবার সব মন্দিরে করে থাকে, এবারও পাব এ রকম আশ্বাস আমরা পেয়েছি।
পলাশ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, গত বছরগুলোর মতো পলাশে অনুষ্ঠিত সব দুর্গা মন্দিরের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ্ বলেন, উপজেলার যে সব মন্দিরে পূজা উদযাপন হবে সে সব মন্দিরে বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে। এছাড়াও মন্দিরের নিরাপত্তার জন্য সব কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে পলাশ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।