নাঈমুর রহমান:
পবিত্র কোরআন এর পরে মানুষ এক সময় সত্য হিসেবে সংবাদপত্রকে মনে করতো কিন্তু গত ১৭ বছরে স্বৈরশাসনের সময় অপসাংবাদিকতার কারনে তা ভুলে বসেছিল।দেশের মানুষ উঠিয়ে নিয়েছিল সংবাদপত্রের উপর থেকে তাদের বিশ্বাস। মাগুরা প্রেসক্লাবের নব নির্বাচিত কার্যকরী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান উদ্বোধন কালে শুক্রবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধক বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহা পরিচালক মাহবুব আলম গোরা তার উদ্বোধনী ভাষনে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন।
মাগুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক সাইদুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক মোঃ অহিদুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা বিপিএম, জেলা তথ্য কর্মকর্তা পাভেল দাস, বাংলাদেশ অবজারভার এর স্টাফ রিপোর্টার শহিদুজ্জামান মোহন, বিএনপি নেতা মনোয়ার হোসেন খান, জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আলী আহম্মদ, জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আহসান হাবীব কিশোর, প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য ড, আলী আফজাল,শরীফ আজিজুল হাসান মোহন, দিপঙ্কর বিশ্বাস বক্তব্য রাখেন।
মাহবুব আলম বলেন, সাংবাদিকদের প্রকৃত সাংবাদিকতার মাধ্যমে দেশের গনমাধ্যকে মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য করে তুলতে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে। দীর্ঘদিন দেশের শাসন ব্যবস্থা একদলী য় স্বৈরশাসনে পরিনত করে সকল অর্গানগুলো ধংশ করা হয়েছিল, তার থেকে রক্ষা পায়নি গনমাধ্যম।
এ সুয়োগে সৃষ্ঠি হয়েছিল এক শ্রেনীর তোষামোদি, ব্যক্তিগত সুযোগ গ্রহনকারী সাংবাদিক নামধারী চক্র। দেশের জনগন দেখেছেন তাদের সাংবাদিকতা।
তিনি বর্তমানে কর্মরত সাংবাদিকদের মুক্ত দেশে মুক্ত সাংবাদিকতা করার আহবান জানান। আগস্ট বিপ্লবে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গুলিতে নিহত মাগুরার ১০ শহীদের ও মাগুরা প্রেসক্লাবের প্রয়াত ৫ সাংবাদিককে মরনোত্তর সংবর্ধনা, দীর্ঘ ২৫ বছরপর মাগুরা প্রেসক্লাবের সদস্য পদপ্রাপ্ত ৩১ জন সাংবাদিককে বরণ। অনুষ্ঠানে মাগুরার জেলা পর্যায়ের সরকারি বেসরকারী কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।