শুভ্র মজুমদার , টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
ঈদ ঘিরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তবে চাপ বাড়লেও এখনো পর্যন্ত বড় ধরনের যানজটের সৃষ্টি হয়নি, যা ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য স্বস্তির খবর।
এ বিষয়ে যমুনা সেতু টোল প্লাজা সূত্রে জানা যায়, সাধারণ সময়ে প্রতিদিন প্রায় ১৮ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার হয়। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত) ৩৩ হাজার ৭৬৬টি যানবাহন সেতু পার হয়েছে, যা আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় ৪ হাজার ৫৩৩টি বেশি।
এই সময়ের মধ্যে টোল আদায় হয়েছে মোট ২ কোটি ৭৮ লাখ ৯৯ হাজার ৯০০ টাকা। পূর্ব প্রান্ত থেকে উত্তরবঙ্গের দিকে ১৮ হাজার ২৩৯টি যানবাহন পার হয়েছে, এতে আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫০ টাকা। অপরদিকে পশ্চিম প্রান্ত থেকে (ঢাকার দিকে) ১৫ হাজার ৫২৭টি যানবাহন পার হয়ে আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখ ৫১ হাজার ৪৫০ টাকা।
২৮ মার্চ (শুক্রবার) বিকেল ৪ টার দিকে টাঙ্গাইল শহর বাইপাস ও কালিহাতীর এলেঙ্গা এলাকায় যানবাহনের চাপ বেশি থাকলেও কোথাও যানজট দেখা যায়নি। মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের ঈদযাত্রা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক স্বস্তিদায়ক।
যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, যানজট এড়াতে সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে ৯টি করে মোট ১৮টি লেনে টোল আদায়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মোটরসাইকযাত্রীরা জানিয়েছেন, মহাসড়কে গাড়ির চাপ থাকলেও কোথাও যানজটের মুখে পড়তে হয়নি। সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরে তারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। যাত্রীদের একজন বলেন, “অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের ঈদযাত্রা অনেক সহজ এবং স্বস্তিদায়ক। যানজট নিয়ে যে ভোগান্তি পোহাতে হতো, এবার তা নেই।”
মহাসড়কের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টোল আদায়ে প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হচ্ছে, যাতে দ্রুত টোল আদায় সম্ভব হয় এবং যানজট তৈরি না হয়। টোল প্লাজায় মোটরসাইকেলের জন্য পৃথক লেন থাকায় অন্যান্য যানবাহনের গতিও স্বাভাবিক রয়েছে।
পুলিশ ও সেতু কর্তৃপক্ষের সমন্বিত পদক্ষেপের ফলে ঈদের আগে ঘরমুখো যাত্রীদের যাত্রা অনেকটাই স্বস্তিদায়ক হয়েছে। তারা আশাবাদী, ঈদের দিন এবং পরবর্তী দিনগুলোতেও এই স্বস্তির ধারা অব্যাহত থাকবে।