নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁর বদলগাছীতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর রাস্তা সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেও নেওয়া হযনি ব্যাবস্থা বরং তরিঘরি করে শেষ করা হয় কাজ।
জানা যায, উপজেলার আধাইপুর ইউনিয়নের পারিচা তিনমাথা থেকে সত্যপাড়া ৪ শত ১০ মিটার রাস্তার সংস্কার কাজের বরাদ্দ ১১ লক্ষ টাকা। কাজ করছেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আবুল ট্রেডার্স।
কাজটির শুরু থেকেই ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্মমানের ইট ব্যবহার করায় স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে অবহিত করা হলেও নেওয়া হয়নি যথাযথ ব্যাবস্থা। জনবসতি এলাকায় সামান্য কিছু ইট সরিয়ে নিয়ে ওই অবস্থায়ই স্পেসিফিকেশন মত বিটুমিন ব্যবহার না করে নামামাত্র বিটুমিন দিয়ে তরিঘরি করে কাজটি শেষ করা হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ এই কাজ ৬ মাসও টিকবেনা। উদ্ধোতন কর্তৃপক্ষ পরির্দশন করে রাস্তার কাজ পুনরাই করার দাবী জানান সচেতন মহল।
পারিচা গ্রামের আফজাল হোসেন বলেন, রাস্তাটির শুরু থেকেই অনিয়ম করা হচ্ছিল। যেসকল ইট ব্যবহার করা হয়েছে তা অত্যান্ত নিম্নমানের। কিছু ইটেরগুড়াও এনে ব্রীজের দুই পাশে দেওয়া হয়েছিল। আমরা প্রতিবাদ করলেও কোন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
দুলু হোসেন বলেন, কার্পেটিংয়ের সময় পাথরের সঙ্গে নামমাত্র কিছু বিটুমিন দেওয়া হয়েছে। তাতে পাথরের ছোটছোট টুকরো ঠিকমত জমাটই লাগেনি। সামান্য লোডগাড়ি গেলেই পাথর উঠে গিয়ে আবারও খালাখন্দ তৈরী হবে। অফিসের যে স্যার দ্বায়িত্বে ছিলেন তিনি এসবে কোন গুরুত্বই দেয়নি। জানিনা তিনি কত টাকা খেয়েছে। আমরা উদ্ধোতন কর্তৃপক্ষের পরির্দশন করে পুনরাই রাস্তার সংস্কার চাই।
বদলগাছী উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুজন রেজা বলেন, সিডিউল মোতাবেক সঠিক নিয়মে কাজ করা হয়েছে। নিম্নমানের যে ইটের অভিযোগ উঠেছিল তা সরিয়ে নিয়ে পুনরাই ভাল ইট দেওয়া হয়েছে। আর বিটুমিনও সঠিক মাত্রায় দেওয়া হয়েছে। কাজে কোন অনিয়ম হয়নি। এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। ভিত্তিহীন অভিযোগ শুনলে আমার মাথা গরম হয়ে যায়।
বদলগাছী উপজেলা প্রকৌশলী সুমন কুমার দেবনাথ বলেন, যেসব পুরাতন ইট ছিল ঐগুলা দাম ধরে সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে। সেকারনে ইট খারাপ মনে হতে পারে। তবে অভিযোগের পর কিছু ইট সরিয়েও নেওয়া হয়েছে। এছাড়া কার্পেটিংয়ের সময় আমি নিজে পরির্দশন করেছি এবং নওগাঁ থেকে স্যারেরা এসেও পরির্দশন করেছে। বিটুমিনের মাত্রা কমবেশী সেটা ল্যাব রিপোর্টেই ধরা পরে। ল্যাবের রিপোর্টের ভিত্তিতে বিল দেওয়া হয়েছে।
ঠিকাদার টিটুর সাথে কথা বললে জানান যায়, কাজের কোন অনিয়ম হয়নি। ল্যাব রিপোর্টে বিটুমিন এর পরিমান ৫ এর উপরে আছে।
জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো। অনিয়োম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।