শুভ্র মজুমদার, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে দাফনের ৫ মাস পর মোন্নাফ (২৩) নামে এক প্রবাসীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে মামলার বাদীর আবেদনের ভিত্তিতে কালিহাতী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিফাত বিন সাদেক এবং কালিহাতী থানার ওসি (তদন্ত) শরিফুল ইসলামের উপস্থিতিতে ধলাটেংগর গ্রামের গোরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। নিহত মোন্নাফ আলী ওই গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে।
গত ১৩ জুলাই ঢাকা-যমুনা সেতু মহাসড়কের ধলাটেংগর এলাকায় একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মোন্নাফ গুরুতর আহত হন। পরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঢাকা নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
পরবর্তীতে ১৪ জুলাই মোন্নাফকে গ্রামের গোরস্থানে দাফন করা হয়। তবে, লাশ গোসলের সময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্ন দেখে হত্যা সন্দেহ উঠে।
মোন্নাফের পিতা মোজাম্মেল আলী বাদী হয়ে ধলাটেংগর গ্রামের আব্দুল বাছেদের ছেলে বাবলু মিয়া (২৩), আবুল কাশেমের ছেলে শাকিল (২১) এবং রহিম বাদশা (২৫)-এর বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য কালিহাতী থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়।
বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে সোমবার লাশ উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মোন্নাফের পিতা মোজাম্মেল দাবি করেন, তার ছেলেকে হত্যার পর সড়ক দুর্ঘটনা সাজিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি জানান, মোন্নাফের উভয় পায়ের গুঁড়ালিতে রগ কাটা, ডান পায়ের হাঁটুর নিচের অংশে গভীর ক্ষত এবং শরীরের অন্যান্য স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এসব আলামতই হত্যার প্রমাণ দেয়।
কালিহাতী থানার ওসি (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পরিবার ও স্থানীয়দের প্রত্যাশা, এই ঘটনায় প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাবে।